ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

সেক্রেটারি জেনারেল পদ নিয়ে জামায়াতে ‘‍সিচুয়েশন ক্রিটিক্যাল’

ডেস্ক নিউজ ::  জামায়াতে ইসলামীর নতুন সেক্রেটারি জেনারেল কে হবেন—তা নিয়ে দলটির সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ‘ক্রিটিক্যাল সিচুয়েশন’ তৈরি হয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের অন্তত ৫ জন নেতার নাম সেক্রেটারি জেনারেল পদের জন্য আলোচনায় আসায় সৃষ্টি হয়েছে এই জটিল পরিস্থিতি। এর মধ্যে কেউ-কেউ নিজের আগ্রহের বিষয়টি ‘ডেসপারেট’ভাবে প্রচারও করছেন। দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও আঞ্চলিক পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে।

জামায়াত নেতারা জানান, গঠনতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অনুমোদন নিয়ে দলের আমির এই পদে একজনকে মনোনীত করেন। এক্ষেত্রে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা করার পরই আমির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন। অতীতে সেক্রেটারি জেনারেল পদে স্বাভাবিকভাবে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলদের মধ্য থেকে একজন মনোনীত হতেন। তবে, এবার জামায়াতের নতুন আমির ডা. শফিকুর রহমানের জন্য সেক্রেটারি জেনারেল নিয়োগ-প্রক্রিয়া জটিল হতে শুরু করেছে।

দলের ঢাকার একজন আঞ্চলিক পরিচালক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা গঠিত হবে। চলতি নভেম্বরে শুরা গঠন করার পর সেক্রেটারি জেনারেল পদে নিয়োগ দেবেন নতুন আমির শফিকুর রহমান। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি দায়িত্ব নেবেন এবং শপথ নেবেন।’
দলের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১২ নভেম্বর জামায়াতের নতুন আমির হিসেবে সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের নাম ঘোষণা করে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। তার আমির হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতেই দলের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মধ্যে সেক্রেটারি জেনারেল কে হবেন—তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামায়াতের প্রভাবশালী একজন নায়েবে আমির বলেন, ‘‘সংগঠনে নতুন আমির নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সিচুয়েশন খুব ক্রিটিক্যাল’। আর দলীয়ভাবে বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেলের বাইরে কারও কথা বলার সুযোগ নেই। কথা বলাও সাংগঠনিকভাবে নিষিদ্ধ।’’

জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা জানান, দলের বর্তমান সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল তিন জন। তারা হলেন, মাওলানা এটিএম মা’ছুম, রফিকুল ইসলাম খান ও হামিদুর রহমান আযাদ। এই তিন জনের মধ্যে ডা. শফিকুর রহমান তার সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে এটিএম মা’ছুমকে চান—এমন কথা দলের মধ্যে প্রচার আছে। বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এটিএম মা’ছুম। সেক্রেটারি পদে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী অবিভক্ত ঢাকা মহানগর কমিটির সাবেক আমির রফিকুল ইসলাম খান। বর্তমানে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ রাজশাহী জোনের নেতারা চাইছেন তাকে। এর বাইরে নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ ও ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের নামও আলোচনায় আছে।

জামায়াতের রাজনীতির গভীর একজন পর্যবেক্ষক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সেক্রেটারি জেনারেল পদে কাকে মনোনীত করা হবে, এ নিয়ে দলের ভেতরে ঐকমত্য নেই। নতুন আমির শফিকুর রহমানের পক্ষপাত এটিএম মা’ছুমের দিকে, যার দলের মধ্যে জনপ্রিয়তা নেই। এরআগে, তিনি ঢাকা মহানগরের নায়েবে আমিরের দায়িত্ব পালন করেছেন।’

জামায়াতের সঙ্গে বিভিন্নভাবে ঘনিষ্ঠ এই সূত্রটির দাবি, মূলত রফিকুল ইসলাম খানের সঙ্গে নতুন আমিরের পুরনো দ্বন্দ্বের কারণেই সেক্রেটারি জেনারেল পদ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি। ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে দায়িত্বশীল সূত্রটি জানায়, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অবস্থায় গ্রেফতার হন নতুন আমির ডা. শফিকুর রহমান। প্রায় ১ বছর পর ২০১৩ সালের নভেম্বরে তিনি সব মামলায় জামিন পেয়ে মুক্তি পান।

সূত্র জানায়, ২০১২ সালে গ্রেফতারের পর তৎকালীন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, রফিকুল ইসলাম খান। শফিকুর রহমান গ্রেফতারের পর ওই সময়ের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি হিসেবে রফিকুল ইসলাম খানকে দায়িত্বে আনেন। পরে যখন ২০১২ সালের নভেম্বরে ডা. শফিক মুক্তি পান তখন দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বিলম্ব করেন রফিকুল ইসলাম খান। পরে ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদের হস্তক্ষেপে শফিকুর রহমান ফের দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ওই ঘটনায় শফিকুর রহমানের সঙ্গে রফিকুল ইসলাম খানের দূরত্ব তৈরি হয়, যার রেশ এখনও দলের নেতাদের মধ্যে রয়ে গেছে।

শফিকুর রহমান আবারও ২০১৭ সালের ৯ অক্টোবর গ্রেফতার হন এবং ২০১৮ সালের ২১ মার্চে মুক্তি পান। এ সময় তার সঙ্গে দলের আমির মকবুল আহমাদ, নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হন।

জামায়াতের কয়েকজন দায়িত্বশীল নেতার ভাষ্য, ২০১১ সালে শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের পর ওই বছরের সেপ্টেম্বরে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সংগঠনকে ‘ডান-উদারপন্থী’ দল হিসেবে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করেন শফিকুর রহমান। এক্ষেত্রে রফিকুল ইসলাম খানের মতো ‘উগ্রপন্থী’ নেতাকে সেক্রেটারি জেনারেল মনোনীত করলে জামায়াতের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা।

জামায়াতের ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০৬ সালের অক্টোবরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ২০১১ সালে পুরানা পল্টন-বিজয়নগর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণের সিদ্ধান্তগ্রহণ-প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন রফিকুল ইসলাম খান। ওই সময় তিনি ঢাকা মহানগর কমিটির আমির ছিলেন। যদিও শফিকুর রহমান সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হওয়ার পর অবিভক্ত ঢাকা কমিটি দক্ষিণ ও উত্তরে ভাগ হয়। দক্ষিণের কমিটিতে শুরা সদস্যদের ভোটে আমির হিসেবে নুরুল ইসলাম বুলবুল ও সেক্রেটারি হিসেবে শফিকুল ইসলাম মাসুদ নির্বাচিত হন। উত্তরে আমির হিসেবে সেলিম উদ্দিন ও সেক্রেটারি হিসেবে রেজাউল করিম দায়িত্বে আসেন।

জামায়াতের কোনও-কোনও নেতা মনে করেন, ঢাকা দুই কমিটিতে ভাগ হওয়ার আগে রফিকুল ইসলাম খানের প্রভাব ছিল একচ্ছত্র। শফিকুর রহমান সেক্রেটারি জেনারেল মনোনীত হয়ে ঢাকায় নিজের একটি পরিমণ্ডল গড়ে তোলেন।

জামায়াতের একটি শাখার গুরুত্বপূর্ণ একাধিক দায়িত্বশীলের পর্যবেক্ষণ, শফিকুর রহমান আমির হিসেবে চাইবেন রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব একজনকে সেক্রেটারি জেনারেল নিয়োগ করতে। দল হিসেবে জামায়াতে যেহেতু সেক্রেটারি জেনারেলকেই বেশি পারফর্ম করতে হয়, সেহেতু তাকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। রফিকুল ইসলাম খানকে সেক্রেটারি জেনারেল করা হলে দলের ভেতরে, বিশেষ করে নির্বাহী কমিটিতে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে।

জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের একজন নেতার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের ভাষ্য, সংগঠনে ‘বেতনভুক্ত দায়িত্বশীল’ পদ্ধতি ধীরে-ধীরে আরও কমানোর চিন্তা থেকেও রফিকুল ইসলাম খানকে সেক্রেটারি জেনারেল করতে চাইবেন না নতুন আমির।

রফিকুল ইসলাম খান এক্ষেত্রে সেক্রেটারি জেনারেল হতে পারছেন না—এমনটিই নিশ্চিত বলে দাবি করেছেন কোনও-কোনও দায়িত্বশীল।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিকভাবে এটিএম মা’ছুম সুপরিচিত নন এবং নেতাকর্মীদের কাছে জনপ্রিয়তা নেই। ২০১৭ সালের অক্টোবরে মকবুল আহমাদ ও শফিকুর রহমান গ্রেফতার হওয়ার পর ১০ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমানের সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে এটিএম মা’ছুমকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। যদিও ওই সময়ে রাজনৈতিকভাবে নিজেকে সামনে আনতে পারেননি তিনি।

সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে আলোচনায় আছেন মিয়া গোলাম পরওয়ার, হামিদুর রহমান আযাদ ও ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। সূত্রের ভাষ্য, নতুন আমির এটিএম মা’ছুমের বিষয়ে ‘বিরোধিতা স্পষ্ট হয়ে গেলে’ হামিদুর রহমান আযাদের নাম প্রস্তাব করতে পারেন। কিন্তু আযাদ সেক্রেটারি জেনারেল হলে দল থেকে একাধিক নেতা পদত্যাগ করবেন, এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলেও দাবি এই সূত্রের। যে কারণে বিতর্কের বাইরে মিয়া গোলাম পরওয়ার ও ডা সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের ক্ষেত্রে প্রথমজন নায়েবে আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার ব্যক্তিগত প্রত্যাশার বিষয়টি এখনও দলে পরিষ্কার নয় বলে জানান একজন নেতা। এক্ষেত্রে আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের প্রতি একটি অংশের আগ্রহ আছে। বিশেষ করে, তিনি জামায়াতের তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হিসেবে পরিচিত। এছাড়া, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে গভীরভাবে যুক্ত আছেন তিনি।

জামায়াতের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে যুক্ত একজন দায়িত্বশীল মনে করেন, মিয়া গোলাম পরওয়ার নায়েবে আমিরের পদ ছেড়ে সেক্রেটারি জেনারেল হতে চাইলে নতুন আমির হিসেবে শফিকুর রহমানের জন্য ইতিবাচক হবে। বিশেষ করে, তার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দক্ষতার বিষয়টি জামায়াতের নতুন রাজনৈতিক লক্ষ্য ও কৌশল বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জামায়াতের রাজনীতির ঘনিষ্ঠ পর্যবেক্ষক শাহ আবদুল হান্নান বলেন, ‘জামায়াতে মূল ক্ষমতা হচ্ছে আমিরের। সেক্রেটারি জেনারেলের কাজ হচ্ছে তার কথামতো দায়িত্ব পালন করা। আমির সরাসরি নির্বাচিত কিন্তু সেক্রেটারি জেনারেল সরাসরি নির্বাচিত নন, তাকে আমির মনোনীত করেন। এক্ষেত্রে আমিরকে শুরার কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়।’

সাবেক সচিব শাহ আবদুল হান্নান আরও বলেন, ‘আমির নির্বাচন খুব সুন্দরভাবে হয়ে গেছে। সেক্রেটারি জেনারেল পদে কাকে নিয়োগ দেবেন, এটা তিনিই ঠিক করবেন। তবে, তাকে অনুমোদন নিতে হবে শুরার। শুরা যদি রাজি না হয়, তাহলে আবার ভিন্ন নাম প্রস্তাব করতে পারবেন। কিন্তু আমিরকেই প্রস্তাব করতে হবে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনীতের নাম। কোনও জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা নেই।’

জামায়াতের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, সেক্রেটারি জেনারেল পদে নিয়োগের বিষয়ে দলের নির্বাহী পরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন নতুন আমির ডা. শফিকুর রহমান। ওই পরামর্শসভায় পরিষদের সদস্যদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হতে পারে।

সূত্রের দাবি, নির্বাহী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের মধ্যে দু’টি ভাগ আছে। একটি ডা. শফিকুর রহমানের পক্ষে, অন্যটি রফিকুল ইসলাম খানের পক্ষে। খানকে সেক্রেটারি জেনারেল করার পক্ষে রয়েছেন নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যাপক তাসনীম আলম, বায়তুল মাল বিষয়ক দায়িত্বশীল মাওলানা আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। বিপক্ষ অংশটির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মা’ছুম, হামিদুর রহমান আযাদ ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন।

এসব বিষয়ে মন্তব্য জানতে জামায়াতের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ-ই স্বনামে উদ্ধৃত হতে রাজি হননি। প্রত্যেকেই গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে দলীয় নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

জানতে চাইলে জামায়াতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাওলানা এটিএম মা’ছুমও একই বিষয় উল্লেখ করেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্ব নির্বাচন করে দেওয়া, এসব বিষয়ে কথা বলা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। দলের সেক্রেটারি জেনারেল কীভাবে মনোনীত করা হয়, তা গঠনতন্ত্রে বলা রয়েছে। পরে যারা দায়িত্বগ্রহণ করবেন, তারা বিষয়টি ঠিক করবেন।’

সেক্রেটারি জেনারেল পদে ব্যক্তিবিশেষের আগ্রহের বিষয়ে জামায়াতের রাজনীতিঘনিষ্ঠ লেখক শাহ আবদুল হান্নান বলেন, ‘জামায়াতে কেউ কোনও পদের জন্য চেষ্টা করেন না, তদবির করেন না। ব্যক্তিবিশেষের আগ্রহ প্রকাশের কোনও সুযোগ নেই।’ যদি কেউ আগ্রহ দেখিয়ে থাকেন, তাহলে জামায়াতের রাজনীতিতে তিনি অপরাধ করছেন বলেও তিনি মনে করেন।

পাঠকের মতামত: